মুক্তি কক্সবাজারের ২৯ তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
খ্রিঃ তারিখে মুক্তি কক্সবাজার এর
২৯ তম বার্ষিক সাধারণ
সভা-২০২৪, সংস্থার প্রধান কার্যালয় মুক্তি ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন
জনাব সন্তোষ শর্মা, সভাপতি, কার্যনির্বাহী কমিটি, মুক্তি কক্সবাজার এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনায়
ছিলেন প্রধান নির্বাহী জনাব বিমল চন্দ্র
দে সরকার । জাতীয় সংগীত
পরিবেশন ও পরিচিতি পর্ব
দিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু
হয়। কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি জনাব সন্তোষ শর্মা
স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ।
শুভেচ্ছা
বক্তব্যে অধ্যাপক সোমেশ্বর চক্রবর্তী উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, দেশপ্রেমের আদর্শ লালন করে অশিক্ষা,
দুর্নীতি, বৈষম্য, কুসংস্কার, দারিদ্র্য, ধর্মান্ধতা থেকে মুক্তি নিশ্চিত
করে সার্বিক মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন অসাধারন একটি প্রগতিশীল সমাজ
ও দেশ গঠনে মুক্তি
ককসবাজার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। দুর্নীতি ও বৈষম্য নিরসন
করে একটি সুন্দর, সুখী
সমাজ গঠনের যে প্রত্যয় বর্তমান
সরকার ও নীতি নির্ধারক
কর্তৃক ঘোষিত হয়েছে আমরা তার সাথে
একাত্ব হয়ে দেশ ও
সংস্থার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবো। অ্যাডভোকেট শিবু লাল দেবদাস
তাঁর বক্তব্যে মুক্তি ককসবাজার প্রতিষ্ঠার পটভূমি তুলে ধরেন এবং
কিভাবে ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়
পরবর্তী সময়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টায়
দুর্গম এলাকায় খাদ্য সহায়তা এবং ঘর নির্মাণ
করেছেন তা বর্ণনা করেন।
তিনি ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে
মানব সেবার টেকসই ধারা অব্যাহত রাখতে
মুক্তি কক্সবাজারের কার্যক্রমে সকলকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান।
কার্যনির্বাহী
পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জনাব সোহেল আহমদ
বাহাদুর, ২৮ তম বার্ষিক
সাধারণ সভার কার্যবিবরণী, বার্ষিক
প্রতিবেদন-২০২৪ সকলের সামনে
উপস্থাপন করেন । এছাড়াও
তিনি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নাধীন
কার্যক্রমের গুণগতমানের প্রশংসা করেন। তিনি সংস্থাকে নিজের
মনে করে সঠিকভাবে অর্পিত
দায়িত্ব পালন করে সংস্থাকে
আরো সামনে এগিয়ে নেয়া এবং ভবিষ্যতে
সাধারণ পরিষদ এবং কার্যনির্বাহী পরিষদ
কর্তৃক মাঠ পর্যায়ে প্রকল্প
কার্যক্রম পরিদর্শন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
জনাব
বিমল চন্দ্র দে সরকার, সংস্থার
ক্ষুদ্রঋণ, উন্নয়ন এবং মানবিক কর্মকান্ডের
আর্থিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন আলোচনা করেন এবং উপস্থিত
সাধারণ পরিষদের সদস্যদের নিকট কার্যবিবরণী, বার্ষিক
প্রতিবেদন-২০২৪ এবং আর্থিক
নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুমোদনের জন্য পেশ করেন,
যা সকলের সম্মতিতে অনুমোদিত হয়। এছাড়াও তিনি
সংস্থার চলমান ১৯ টি প্রকল্পের
অর্জন ও অগ্রগতি সম্পর্কে
সচিত্র প্রতিবেদনের মাধ্যমে তথ্যবহুল আলোচনা করেন।
অধ্যাপক
জেবুন নেছা, সহ-সভাপতি, কার্যনির্বাহী
পরিষদ, বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত সকলকে
আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, মুক্তি নানান চড়াই-উতরাই পাড়
হয়ে আজকের এ পর্যায়ে এসেছে।
সময়ের পরিক্রমায় পরিবর্তনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে
মুক্তি কক্সবাজারের গভর্নিং
বডি এবং দক্ষ কর্মীবাহিনী
সর্বদাই উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণ করে সংস্থার কার্যক্রমকে
গতিশীল করেছে। প্রধান নির্বাহীর সঠিক দিক নির্দেশনায়
মুক্তি কক্সবাজার আরো
এগিয়ে যাবে তিনি এ
আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় সংস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জনাব অ্যাডভোকেট সুজিত চোধুরী, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জনাব অধ্যাপক সোমেশ্বর চক্রবর্তী, সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টা বিশিষ্ট আইনজীবী জনাব শিবু লাল দেবদাস, কার্যকরী পরিষদের সহ-সভাপতি অধ্যাপক জেবুন নেছা, সাধারণ সম্পাদক জনাব সোহেল আহমদ বাহাদুর, সহ: সাধারণ সম্পাদক জনাব অধ্যাপক শরমিন সিদ্দীকা লিমা সহ সাধারণ এবং নির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং মুক্তি কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী, উপপ্রধান নির্বাহী, সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যবৃন্দ, প্রকল্প সমন্বয়কারী সহ ৯০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।