মুক্তি কক্সবাজার কর্তৃক মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উদযাপন
অদ্য
১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি: তারিখে
মুক্তি কক্সবাজার কর্তৃক
যথাযোগ্য মযার্দায় মহান বিজয় দিবস
উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি
উদযাপন উপলক্ষে ভোর ৬ ঘটিকায়
সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং
৬:৩০ ঘটিকায় র্যালী
সহকারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক
অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
শ্রদ্ধা
নিবেদন শেষে সকাল ০৮:৩০ ঘটিকা থেকে
সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা
ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত
অনুষ্ঠানে সংস্থার প্রধান কার্যালয় এবং প্রকল্প হতে
আগত কমীর্বৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। একক ও সমবেত
কন্ঠে সঙ্গীত পরিবেশনে অনুষ্ঠানটি উপভোগ্য হয়ে উঠে। আলোচনা
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার প্রাক্তন সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টা
এডভোকেট শিবু লাল দেবদাস।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার উপ—প্রধান নির্বাহী,
সৈয়দ লুৎফুল কবির চৌধুরী। আলোচনা
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংস্থার প্রধান
নির্বাহী, বিমল চন্দ্র দে
সরকার।
অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি এবং সংস্থার বিভিন্ন
পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ বক্তব্য রাখেন। আলোচনায় সংস্থার কর্মীবৃন্দ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। তারা
বলেন, বিজয়ের ৫৩ বছর পেরিয়ে
৫৪তম বছরে পা দিল
আমাদের সোনার বাংলাদেশ। দীর্ঘ ৯ মাস পাকবাহিনীর
সাথে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমারা স্বাধীনতা অর্জন করেছি এবং ৩০ লক্ষ
শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা আমাদের এই
সোনার বাংলাকে পেয়েছি। জাতি আজ এই
বিজয়ের আনন্দের দিনে গভীর কৃতজ্ঞতা
ও পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ
করছে দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী
বীর সন্তানদের; আমরা তাদের কখনও
ভুলবো না, যারা আমাদের
এই স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, এই
স্বাধীনতা আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব। স্বাধীনতার সুফল পেতে হলে
আমাদেরকে লক্ষ্যে মনোনিবেশ করতে হবে এবং
স্বাধীনতার অর্জনকে ধরে রাখতে হবে।
প্রধান
অতিথি এডভোকেট শিবু লাল দেবদাস
তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতা একটি মানসিকতা এবং
এর দুইটি বিষয় থাকে, এর একটি হলো
ভৌগলিক কাঠামো এবং অপরটি হচ্ছে
তার জনগণ। স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হলে ব্যক্তি
পর্যায় থেকে সবার আগে
সুশাসন নিশ্চিত করে পরিবার এবং
সমাজে অনুশীলনের মাধ্যমে রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
আলোচনা
সভার সভাপতি জনাব বিমল চন্দ্র
দে সরকার তার বক্তব্যে প্রথমে
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন
করেন। তিনি বলেন, মুক্তির
সার্বিক আন্দোলন আজও চলমান। তিনি
মুক্তি কক্সবাজার এর
ভিশন উল্লেখ করে বলেন, সকল
ধরণের বৈষম্য, কুসংস্কার ও দারিদ্র থেকে
মুক্তির লক্ষ্যে মুক্তি কক্সবাজার প্রতিষ্ঠা
হয়েছে, তেমনি এদেশের মানষের প্রতি বৈষম্য, শোষণ, বঞ্চনা ও নির্যাতন থেকে
মুক্তির লক্ষ্যে স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম।
বিজয়ের সুখ পেতে হলে
মুক্তি কক্সবাজার কর্মী
হিসাবে সবাইকে আন্তরিক ও নিষ্ঠার সাথে
দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি সকল কর্মীকে সংস্থার
ভিশন অন্তরে ধারণ করে সমাজের
পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সার্বিক
মুক্তির লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার
উদাত্ত আহবান জানান।
পরিশেষে তিনি সকল পর্যায়ের কর্মীকে অনুষ্ঠান সফলভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।