মুক্তি কক্সবাজার কর্তৃক মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস--২০২৪ উদ্যাপন।
অদ্য ২৬ মার্চ২০২৪ খ্রিঃ যথাযোগ্য মর্যাদায় মুক্তি কক্সবাজার কর্তৃক ৫৪ তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এছাড়াও সকাল ৮:৩০ ঘটিকা থেকে সংস্থার প্রধান কার্যালয় মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টা অধ্যাপক সোমেশ্বর চক্রবর্তী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার উপদেষ্টা পরিষদের সম্মানিত সদস্য এ্যাডভোকেট শিবু লাল দেবদাস এবং নির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ বাহাদুর। আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন সংস্থার প্রধান নির্বাহী জনাব বিমল চন্দ্র দে সরকার।
অতিথিগণ তাদের বক্তব্যে বলেন, আজকে মহান স্বাধীনতার ৫৪তম দিবস; যা বাঙালি জাতির ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন এবং পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মাথা উচুঁ করে দাঁড়ানোর দিন। আলোচনায় বক্তারা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ ই মার্চের ভাষণ, ২৫ শে মার্চের অপারেশন সার্চলাইট, ২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা, দীর্ঘ নয় মাস ব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনার পাশাপাশি স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ, বীরাঙ্গনা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে নারীদের অবদানের কথা তুলে ধরে বলা হয়, যদিও যুদ্ধে নারীরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন তথাপি তাদের আলোচনা শুধুমাত্র বীরাঙ্গনাদের মাঝেই সীমাবদ্ধ। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে, স্বাধীনতা দিবস বাংলাদেশের মানুষের কাছে মুক্তির প্রতিজ্ঞায় উদ্দীপ্ত হওয়ার ইতিহাস উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধি প্রদান এবং মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি তার আলোচনায় আরো বলেন, আমরা স্বাধীনতা পেলেও মুক্তি এখনও পাইনি; তাই মুক্তির জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভালো হয়ে ভালো কাজ করতে হবে, স্বাধীনতার সুফল প্রত্যেক ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে আমাদের সকলকে যার যার দায়িত্ব সঠিকভাবে সততা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করতে হবে এবং সামাজিক শোষণ, বঞ্চনা ও দরিদ্রতা থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্তি দিতে সমন্বিত, কার্যকরি এবং টেকসই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংস্থার উপ-প্রধান নির্বাহী জনাব লুৎফুল কবির চৌধুরী, কোঅর্ডিনেটর-মনিটরিং জনাব মোঃ খাইরুল ইসলাম, এইচআর এন্ড এডমিন কোঅর্ডিনেটর জনাব সুজিত কুমার ভৌমিক। অনুষ্ঠানের সভাপতি এবং সংস্থার নির্বাহী প্রধান বিমল চন্দ্র দে সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তার বাল্যজীবনের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি আরো বলেন, মুক্তি কক্সবাজার মানুষকে বৈষম্য, শোষণ ও বঞ্চনা হতে মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে এবং সোনার বাংলা বিনির্মাণে সরকারের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে অবদান রাখতে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি সকল পর্যায়ের কর্মীদের সততা, জবাবদিহিতা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করে স্বাধীনতার সুফল অন্যের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আহবান জানান। সবশেষে তিনি অনুষ্ঠান সফলভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য উপস্থিত অতিথিবৃন্দ এবং সংস্থার সকল পর্যায়ের কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন আব্দুল হাকিম শেখ, এইচআর এন্ড অর্গানাইজেশনাল ডেভেলপমেন্ট অফিসার ও খালেদা নাসরিন, জেন্ডার অফিসার, ইউনিসেফ এফডিএমএন শিক্ষা কর্মসূচি।