মুক্তি কক্সবাজার কর্তৃক ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ উদ্যাপন
অদ্য ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ খ্রিঃ
তারিখ যথাযোগ্য
মর্যাদায় মুক্তি
কক্সবাজার কতৃর্ক
ভাষা শহীদ
দিবস ও
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা
দিবস—২০২৪
উদ্যাপন করা
হয়। দিবস
উপলক্ষ্যে বিভিন্ন
কর্মসূচী’র
মধ্যে ভোর
৬:৩০
ঘটিকায় প্রভাত
ফেরীসহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে
পুস্পার্ঘ্য অর্পণ
এবং সকাল
০৯:৩০
ঘটিকা থেকে
সংস্থার প্রধান
কার্যালয়ে এক
আলোচনা সভা
ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন
করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান
অতিথি হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন
সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক সভাপতি
ও বর্তমান
প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক সোমেশ্বর
চক্রবর্তী, অতিথি
হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন বর্তমান
উপদেষ্টা এডভোকেট
শিবু লাল
দেবদাস এবং
নিতাই চন্দ্র
সেন, সমন্বয়কারী, সরকারী ও
দাতা সংস্থা
লিয়জোঁ। আলোচনা
ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অত্র
সংস্থার প্রধান
নির্বাহী, বিমল
চন্দ্র দে
সরকার।
দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়
‘‘বহুভাষিক শিক্ষা—একটি বহুভাষিক বিশ্বে
শিক্ষাকে রূপান্তরিত করার প্রয়োজনীয়তা” এর
উপর ভিত্তি
করে প্রধান
অতিথি, অতিথি
এবং সংস্থার
বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ বক্তব্য
রাখেন। বিশেষ
অতিথি এবং
প্রধান অতিথি
তাদের বক্তব্যে
বলেন যে,
ভাষা আন্দোলন
এর মাধ্যমে
আমাদের মহান
স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ রোপিত
হয়েছেএবং নিজস্ব
সংস্কৃতিক উন্মেষ
ঘটেছে। তবে
দিন দিন
আমাদের বাঙলা
সাংস্কৃতির চর্চা
বিকৃত হচ্ছে,
সুতরাং আমাদের
সকলকে সঠিকভাবে
বাংলা সংস্কৃতির চর্চাকে সমুন্নত
রাখতে হবে।
আলোচনা সভায়
অতিথির বক্তব্যে
উপদেষ্টা এডভোকেট
শিবুলাল দেবদাস
বলেন যে,
আমাদেরকে বাংলা
ভাষা সঠিকভাবে
শেখার পাশাপাশি
অন্যান্য ভাষায়ও
দক্ষতা বাড়াতে
হবে, তবে
অবশ্যই নিজ
মাতৃভাষার সঠিক
চর্চা ও
সংস্কৃতির মাধ্যমে
বাংলা ভাষাকে
বিশ্বের বুকে
ছড়িয়ে দিতে
হবে। প্রধান
অতিথি হিসাবে
অধ্যাপক সোমেশ্বর
চক্রবর্তী বলেন,
বাংলা ভাষার
বিকৃতি হচ্ছে
এবং বাংলা
ভাষার প্রতি
আমাদের অবজ্ঞা
তৈরী হচ্ছে।
যে ভাষা
রক্ষা করার
জন্য অনেক
বাঙালী জীবন
দিয়েছে তাকে
অবশ্যই আমাদেরকে
টিকিয়ে রাখতে
হবে লেখনী
ও মৌখিক
কথোপকথনের মাধ্যমে।
এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন
সংস্থার সমন্বয়কারী সরকারী ও
দাতা সংস্থা
লিয়াজোঁসহ বিভিন্ন
পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কমীর্বৃন্দ। আলোচনা সভার
শেষ পর্যায়ে
সভাপতি মহোদয়
বক্তব্যে বলেন,
মুক্তি কক্সবাজার পরিবারের সদস্য
হিসাবে আমাদের
সকলকে বাঙ্গালী
সংস্কৃতিকে হৃদয়ে
ধারণ করে
বাস্তবে তা
প্রয়োগ করতে
হবে তবেই
বাংলা ভাষার
ঐতিহ্য সমুন্নত
থাকবে। পরিশেষে
তিনি সকল
পর্যায়ের কমীর্দেরকে উক্ত অনুষ্ঠান
সফলভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য
ধন্যবাদ জ্ঞাপন
করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা
করেন।
সভাটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন মোঃ
আব্দুল হাকিম,
মানব সম্পদ
ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন কর্মকতার্ এবং ফারজাহানা আক্তার, প্রকল্প
ব্যবস্থাপক, নারী
সুরক্ষা কর্মসূচী।