মুক্তি কক্সবাজার কর্তৃক ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ২০২৩ উদযাপন
মুক্তি
কক্সবাজার কর্তৃক যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৩
মহান বিজয় দিবস উদযাপন
করা হয়। এ উপলক্ষে
ভোর ৬.০০টায় সংস্থার
প্রধান কার্যালয়ে জাতীয়
পতাকা উত্তোলন করা হয়। অতঃপর
সকাল ৬:৩০ ঘটিকায় র্যালী সহকারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পার্ঘ্য
অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের
কর্মসূচী শুরু হয়।
শ্রদ্ধা
নিবেদন শেষে সকাল ০৮:৩০ ঘটিকা থেকে
সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা
ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত
অনুষ্ঠানে সংস্থার বিভিন্ন প্রকল্প হতে আগত কর্মীবৃন্দ
অংশগ্রহণ করেন। একক ও সমবেত
কন্ঠে সঙ্গীত পরিবেশনে অনুষ্ঠানটি উপভোগ্য হয়ে উঠে। আলোচনা
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টা
অধ্যাপক সোমেশ্বর চক্রবর্তী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন
সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টা
এডভোকেট শিবু লাল দেবদাস,
কার্যনির্বাহী কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক শরমিন ছিদ্দিকা লিমা ও সংস্থার
উপ-প্রধান নির্বাহী, সৈয়দ লুৎফুল কবির
চৌধুরী। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন
সংস্থার প্রধান নির্বাহী, বিমল চন্দ্র দে
সরকার।
অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি, অতিথি এবং সংস্থার বিভিন্ন
পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ বক্তব্য রাখেন। আলোচনায় সংস্থার কর্মীবৃন্দ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সোমেশ্বর চক্রবর্তী বলেন, বিজয়ের ৫২ বছর পেরিয়ে
৫৩তম বছরে পা দিল
আমাদের সোনার বাংলাদেশ। দীর্ঘ ৯ মাস পাকবাহিনীর
সাথে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমারা স্বাধীনতা অর্জন করেছি এবং ৩০ লক্ষ
শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা আমাদের এই
সোনার বাংলাকে পেয়েছি। জাতি আজ এই
বিজয়ের আনন্দের দিনে গভীর কৃতজ্ঞতা
ও পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ
করছে দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী
বীর সন্তানদের। আমরা তাদের কখনও
ভুলব না, যারা আমাদের
এই স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, এই
স্বাধীনতা আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব কিন্তু বিজয়ের
৫২ বছর পরেও আমরা
শহীদ বুদ্ধিজীবির পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরী করতে পারিনি
এটা আমাদের দূর্ভাগ্য। শহীদ বুদ্ধিজীবির পূর্ণাঙ্গ
তালিকা তৈরী করে তাদেরকে
স্বীকৃতি দিতে হবে। অনুষ্ঠানে
আরো বক্তব্য রাখেন বর্তমান উপদেষ্টা এডভোকেট শিবু লাল দেবদাস,
সহঃ সাধারণ সম্পাদক শরমিন সিদ্দিকা লিমা এবং সংস্থার
উপ-প্রধান নির্বাহী, সৈয়দ লুৎফুল কবির
চৌধুরী। আলোচনা সভার শেষ পর্যায়ে
সভাপতি মহোদয় তার বক্তব্যে প্রথমে মুক্তি যুদ্ধে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন
করেন। তিনি বলেন, মুক্তির সার্বিক আন্দোলন আজও চলমান। তিনি মুক্তি কক্সবাজারের সকল
কর্মীকে সংস্থার মূল উদ্দেশ্য “ভাল হওয়া এবং ভাল করা”
অন্তরে ধারণ করে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে নিরলস কাজ করার
উদাত্ত আহবান জানান।
পরিশেষে তিনি সকল পর্যায়ের
কর্মীকে উক্ত অনুষ্ঠান সফলভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের
সমাপ্তি ঘোষণা করেন।